অন্ধের হাতি দেখা এবং মুসলমানদের ইসলাম দেখার গল্প !!

অন্ধের হাতি দেখা এবং মুসলমানদের ইসলাম দেখার গল্প,
যে কারনে আজ মুসলমান দ্বীধা বিভক্ত !
আর তার সুযোগ নিতেছে বিধর্মীরা!

একদল অন্ধলোককে নিয়ে আসা হলো হাতি দেখানোর জন্য । অন্ধতো চোখে দেখে না কিভাবে হাতি দেখবে। তাই বাস্তবে হাতি দেখাতে হবে। একটি হাতি সামনে অানা হলো । এবং অন্ধ লোকদেরকে হাতি দেখার জন্য ছেড়ে দেয়া হলো। অন্ধ লোকগুলো গিয়ে কেউ হাতির পা ধরলো, কেউ হাতির লেজ ধরলো , কেউ হাতির কান ধরলো, কেউ হাতির শুড় ধরলো, কেউ হাতির পেট ধরলো । তারপর সকল অন্ধ লোকদেরকে ডেকে আনা হলো। এখন পৃথক পৃথক ভাবে অন্ধলোকদের হাতি দেখার ইন্টারভিউ নেয়া শুরু হলো । প্রত্যেককে একই প্রশ্ন করা হলো যে হাতি তুমি কিরুপ দেখলে? জবাবে অন্ধরা যে বিবরন দিল তা হলো, যে হাতির পা ধরলো সে বললো হাতি খাম্বার মত, যে লেজ ধরলো সে বললো সে বললো হাতি রশির মত, যে কান ধরলো সে বললো হাতি কুলার মত, যে শুড় ধরলো সে বললো হাতি কলাগাছের মত, যে হাতির পেট ধরলো সে বললো হাতি ডোলার মত। এখন বিজ্ঞ বিচারকগন বলুন আসলে কি হাতি কি অন্ধের বিবরন অনুযায়ী পৃথক পৃথক অংঙ্গই কি হাতি না সম্পূর্ন অংঙ্গগুলি একত্রে একটি পুর্নাংগ হাতি ??? ঠিক তেমনি আজ মুসলমান গন কেউ জিকিরের আয়াত পড়ে খানকায় ঢুকেছে, কেউ জিহাদের আয়াত পাঠ করে অস্ত্র হাতে নিয়েছে, কেউ নামাজের আয়াত পাঠ করে মসজিদে ঢুকেছে, কেউ দাওয়াতের আয়াত পাঠ করে তাবলীগে বেড় হয়েছে এইভাবে যে যেই আয়াত পাঠ করতেছে উহাকেই ইসলাম মনে করতেছে। আবার কোরআন হাদীস এবং মোহাম্মদ সা: কে বাদ দিয়ে কেউ ঈমাম হাসান হোসেনকে অনুস্বরন করে শিয়া , কেউ মাজহাবকে অনুস্বরন করে সুন্নী, কেউ বা কোরআনকে বাদ দিয়ে শুধু হাদীস নিয়ে আহলে হাদীস ইত্যাদি মতবাদ নিয়ে আজ পুরো মুসলিম জাতি দ্ভীধা বিভক্ত। এখন আপনি যদি একজন বিজ্ঞ লোক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নিজের বিচার নিজেই করুন যে পবিত্র কোরআনের সমস্ত আয়াতকে একত্র করেই তো ইসলাম না কি বিশেষ কোন একটি আয়াত নিয়ে ইসলাম ? তাছাড়া মহানবী সা: ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তিকে অনুকরন করেকি কেউ পরকালে মুক্তির আশা করতে পারে ?? তাহলে অন্ধের হাতি দেখার ন্যায় কেন আজ মুসলমান জাতী এভাবে ইসলামকে ভূল বুঝতেছে বা ভূল পথে চলে নিজেদের ঈমান , আমলকে ধ্বংস তথা মুসলিম জাতীকে দুর্বল করতেছে। এর জন্য কে দায়ী ?? সুতরাং আসুন অন্ধ না হয়ে চক্ষুশমান হই। পুর্নাংঙ্গ ইসলামকে সুন্দর ভাবে চিনতে বুঝতে ও মানতে চেষ্টা করি। তাহলেই আমরা দুনিয়া ও আখেরাতে নাজাত পাবো ইনসআল্লাহ।